সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসন নগরের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে একই অভিযোগে তার চাচাতো ভাই মুর্শেদ আলম কে ও পুলিশ আটক করে। তাহিরপুর থানার মামলার অভিযোগে প্রকাশ্যে ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবি পূরণ না করায় দুটি স্পীডবোড যোগে ১৪ থেকে ১৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ গত ১২ আগষ্ট বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সংসার হাওরের জেটি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে এসে রাতভর শারীরিক নির্যাতন, প্যাডে, সাদা কাগজে স্বাক্ষর আদায় করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হয়ে উঠায় অপহরণকারী গ্রপের সদস্যরা ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে জিম্মিদশা থেকে ছেড়ে দেয়। এরপর তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এর নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল মোর্শেদ কে আটক লাউড়ের গড় সাহিদাবাদ এলাকা থেকে তাকে আটক করে। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার হাসন নগর এলাকার মৃত রাজা মিয়ার পুত্র ওলিউর রহমান বাদী হয়ে মোর্শেদ ও তার অপর তিন সহোদরসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তার চাচাতো ভাই শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদ কে আটক করা হয়েছে। এদিকে বাদাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সেলিম আহমদের ভাই নিজাম উদ্দিন জানান তার ভাই সম্পূর্ণ নির্দোষ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ ঘটনায় সেলিম কোনও ভাবেই জড়িত নয়। ঘটনার কয়েকদিন পর হঠাৎই তাকে আটক করার ঘটনা সাজানো। তিনি আরও বলেন যারা আমাদের পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে তাদের বিচার আল্লাহ করবেন।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment