পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীর চরমজলিশ পুর ইউনিয়নের চান্দলা মনিরুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার তৃতীয় জামাতের (১০) বছরের এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদি ধরে বলৎকার করার অভিযোগ উঠেছে ঐ মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বাদী হয়ে গত ৯ আগস্ট রাতে বলৎকারের শিকার শিক্ষার্থীর মা সোনাগাজী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমান ও শিক্ষা পরিচালক রেদোয়ানকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিক্ষক রেদোয়ানকে ছেড়ে দেন। আসামিকে পালাতে সহায়তা করায় মুহতামিম মাও. গোলামুর রহমানকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শিক্ষক নুর নবী চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা মনিরুল উলুম ইসলামীয়া মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপোলে। বলৎকারের শিকার শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার ছেলেকে চান্দলা মাদ্রাসায় পড়ার লেখা করার জন্য ভর্তি করি। যাতায়াতে দুরত্ব হওয়ায় আবাসিকে তাকে থাকতে দিই। দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলেকে শিক্ষক নুরনবী যৌন নির্যাতন করছে বিষয়টি আমরা জানতামনা। গত কয়েকদিন আগে কোন কারন ছাড়া আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসে। আমি তাকে মারধোর করে আবার মাদ্রাসায় দিয়ে আসি, আমি বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পর আমার ছেলে আবার বাড়িতে চলে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে মাদ্রাসায় যেতে অস্বীকার করে। কারন জানতে চাইলে সে কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষক নুর নবী কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে জানান। তার ছেলের মলত্যাগে করতে কষ্ট, ও মুখে ইনফেকশন হওয়ার কথা মাকে জানায়। বলৎকারের শিকার শিক্ষার্থী জানায়, হুজুরের লিঙ্গ তার মুখে ডুকিয়ে জোর করে চোষাতে বাধ্য করতো,পায়ুপথে বলৎকার করতো, কাউকে বললে তাকে প্রানে মেরে পেলার হুমকি দিতো। বলৎকারের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা জানান, এই বিষয়ে আমি মাদ্রাসার মুহতামিম গোলাম রহমানের কাছে বিচার দিয়েছি, তিনি বিচার না করে উল্টো অপরাধীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নুর নবীর কাছে মুটোফোনে জানতে চাইলে পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন। নুর নবীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার সোনাইপোলে। সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. খালেদ দাইয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment