আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি।। ভুমিদস্যুদের কবল থেকে ধানসিড়ি ইকো পার্ক রক্ষার দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে ঝালকাঠির সুশীল সমাজ। সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধনের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু হয়েছে। মানববন্ধনে আরো কর্মসূচী ঘোষণা করেন ধানসিড়ি ইকো পার্ক রক্ষা ও নদী বাচাঁও আন্দোলনের আহবায়ক ও মানববন্ধনের সভাপতি ইলিয়াস সিকদার ফরহাদ। এসময় আরো বক্তৃতা করেন এ কমিটির সদস্য সচিব ও সদর উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান মঈন তালুকদার, যুগ্নআহবায়ক জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা পরিষদ সদস্য মো. হাছান, গাবখান-ধানসিড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মাসুম, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ও কেওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ খান, বিশিষ্ট কবি ও কবিতা চক্রের সাধারণ সম্পাদক মুহাঃ আল-আমিন বাকলাই, প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আককাস সিকদার, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক দুলাল সাহা, কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত দাস হরি, এডভোকেট সাকিনা আলম লিজা, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন, কবিতা হালদার, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ আলী হাসান, স্বপন কুমার সেন গুপ্ত, মোঃ সোয়েবুর মোর্শেদ সোহেল, এসএম হুমায়ুন কবীর, জাসদ সভাপতি সুকমল ওঝা দোলন প্রমুখ। এরপূর্বে গত ১৬জুলাই এক বৈঠকে সুজন ঝালকাঠি জেলা কমিটির সভাপতি কলেজ শিক্ষক ইলিয়াস সিকদার ফরহাদকে কমিটির আহবায়ক এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ঝালকাঠিতে ধানসিঁড়ি ইকোপার্ক রক্ষা আন্দোলনের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে ঝালকাঠি সুগন্ধা-বিষখালী-গাবখান-বাসন্ডা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা ৮৮ একর জমিতে (জেগে উঠা চড়) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধানসিড়ি ইকোপার্ক নামে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০০৪ সালে একনেকে এ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয় । ২০০৭-২০০৮ সালে পার্কের জন্য ৮ কোটি টাকাও বরাদ্দ করা হয় । কিন্তু বনও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং ভুমি মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। এরপরই শুরু হয় এই জেগে উঠা বিশাল চর নিয়ে মামলা মোকদ্দমা। মামলায় স্থগিতাদেশে বন্ধ হয়ে যায় ইকোপার্কের উন্নয়ন কর্মকান্ড। সর্বশেষ এ বছরের প্রথম দিকে প্রস্তাবিত ইকোপার্কের জমি নিয়ে নতুন আরেকটি মামলা হয়। এ মামলায় সরকার পক্ষ হেরে যায়। তাই আবার ইকোপার্ক ইস্যু আলোচনায় চলে আসে। আদালতে সরকার পক্ষের শক্ত অবস্থান নেয়ার দাবি উঠে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের। পাশাপাশি বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ঝালকাঠিবাসির মধ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ইকোপার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন, দ্রুত সরকার পক্ষের উচ্চ আদালতে আপীল ও মামলা জটিলতার অবসানে দৃশ্যমান ভূমিকার দাবি উঠেছে সুশীল সমাজের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment