নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক বিচার আদালত গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে।
২০১৯ সালে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া অর্গানাইজেশন ফর ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সহযোগিতায় মিয়ানমারকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন অঞ্চলের রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি ‘ব্যাপক’ গণহত্যা, গণধর্ষণ চালানোসহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। যার ফলে সেখান থেকে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
সর্বশেষ ২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটির ক্ষমতা দখল করে নেয়। সে সময় জান্তা সরকার দাবি করেছিল, জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে এ বিষয়ে মামলা করার কোনো অবস্থানে গাম্বিয়া নেই। এ ব্যাপারে আদালতে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানায় তারা।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশ মনে করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার ও জবাবদিহি ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে। এই ব্যবস্থা একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নিজভূমিতে নাগরিক হিসেবে আইনসংগত অধিকারসহ ফিরে যেতে আস্থা জোগাবে।