শ্রীলঙ্কায় কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের কারণে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ক্ষোভ থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো দেশ। পুরো পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রাণের ভয়ে মালদ্বীপে পালিয়ে গেছেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ও এখন বিক্ষোভকারীদের দখলে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, তিনি সামরিক বাহিনীকে শৃংখলা পুনরুদ্ধারের জন্য যা যা করা দরকার তাই করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি তার কার্যালয় এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে এবং কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না। আমরা এভাবে কাউকে ক্ষমতা দখল করতে দিতে পারি না। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের হুমকির অবসান ঘটাতে হবে।
এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় দুটি প্রচার মাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার দুপুরের দিকে দেশটির সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল রুপাভিহিনি শ্রীলঙ্কার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ওই চ্যানেলের কার্যালয়ে প্রবেশ করায় প্রকৌশলীরা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।এর ঘণ্টাখানেক পরেই আরও একটি প্রচার মাধ্যমের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ওই চ্যানেলের নাম জানা যায়নি। সেখানেও বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।