স্টাফ রিপোর্টার : ত্রাণ নিয়ে বন্যায় দুর্গতদের বিতরণ করতে যাওয়ার সময় ট্রলার (ইঞ্জিন চালিত নৌকা) নেত্রকোনায় ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দল। টাঙ্গাইল থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা ১২জন ব্যবসায়ী স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও তিন চতুর্থাংশ ত্রাণের প্যাকেট ভিজে নষ্ট হয়েছে।
জানা যায়, ছয়শো ত্রাণের প্রতি প্যাকেটে রয়েছে সাত কেজি চাল, এক কেজি করে লবণ, ডাল, আলু ও পেঁয়াজ এবং আধা লিটার ভোজ্য তেল।
বুধবার (২৯ জুন) সকালের দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় নোয়াগাঁও এলাকার সোনাডুবি হাওরে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে।
ত্রাণ নিয়ে আসা টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও গাড়ি ব্যবসায়ী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম তালুকদারসহ ১২ জন। তারা একই এলাকার বাসিন্দা ও সকলে ব্যবসায়ী।
ত্রাণ সহায়তাকারীদের একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম জানান, ত্রাণ নিয়ে সুনামগঞ্জের মহেষখোলার বাগলি এলাকার বন্যার্তদের মাঝে বিতরনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথের মধ্যে নোয়াগাঁও এলাকার সোনাডুবি হাওরে আমাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবন্ত একটি পিলারের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ট্রলারের তলদেশের কাঠ ছিদ্র হয়ে পানি ঢুকে ডুবে যেতে থাকে। ট্রলারের নিচে বেশিরভাগ ত্রাণের প্যাকেট ছিল। কিছু সংখ্যক প্যাকেট নিয়ে আমরা উপরে বসে ছিলাম।
তিনি আরো জানান, আশপাশের কয়েকটি ছোট ছোট নৌকা উদ্ধারে এগিয়ে এসে আমাদের প্রাণে রক্ষা করে। ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ত্রাণসহ ট্রলারাটিকে উদ্ধার করে। ত্রাণের প্যাকেটগুলো চারভাগের তিনভাগ ভিজে যায়। উদ্ধারের পরে যেগুলো ভাল ছিল তা দুর্গতদের মাঝে বিতরন করতে পেরেছি।
কলমাকান্দার থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ খান জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে হাওর থেকে লোকজনসহ ত্রাণের মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।