স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ১৫ বছর কিশোরীর সাথে একই এলাকার যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেড়ানোর কথা বলে হোটেল নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করেন প্রেমিক। পুনরায় শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাবে প্রেমিকা প্রত্যাখান করলে ধারণকৃত ভিডিও মেসেঞ্জার, ওয়ার্টসঅ্যাপ, শেয়ারইট এধরনের সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছে প্রেরণ করেন প্রেমিক।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় ধর্ষণ ও পন্যগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। সোমবার (২৭ জুন) দুপুরের দিকে ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুুনিক সদর হাসপাতালে এবং পরে সেখান থেকে জবানবন্দীর জন্য আদালতে প্রেরণের কথা জানায় পুলিশ।
অভিযুক্ত প্রেমিক সুজন (১৯) উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাক।
ভূক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ভূক্তভোগী কিশোরীর সাথে যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে গত দুই মাস আগে প্রেমিকাকে বেড়ানো কথা বলে জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় একটি হোটেলে নিয়ে যান যুবক। সেখানে ভিকটিমের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করেন সুজন। পরবর্তীতে কিশোরীকে আবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তব দেয় প্রেমিক। প্রেমিকা তাতে সম্মতি না দিলে পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। হোটাসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, শেয়ারইটের মতো সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন জনের কাছে প্রেরণ করেন সুজন। ভূক্তভোগী বিষয়টি তার মাকে জানালে গত রবিবার (২৬ জুন) রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজোয়ানুর রহমান রনি জানান, ভূক্তভোগীর অভিভাবক বিষয়টি জানালে ছেলে পক্ষের অভিভাবককে সুজনকে নিয়ে আসতে বলি। ছেলে বাবা এসে দেখা করে বলে ছেলে কোথায় গেছে তা জানে না। জানতে পারি কৌশলে ছেলেকে পালাতে সহায়তা করেছে। পরে ভূক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ধর্ষণ ও পন্যগ্রাফি আইনে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি সম্পন্ন শেষে জবানবন্দীর জন্য কিশোরীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।