স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় ত্রাণ আনতে গিয়ে নুরমিন (২১) নামের এক যুবতী মারধরের শিকার হয়েছেন- এমন অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নের পরিষদের সমানে যুবতীকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী যুবতী নুরমিন একই ইউনিয়নের মাঘান ঘরপাড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী মোস্তাকিমের স্ত্রী। বন্যায় তার ঘরে হাঁটু পানি উঠায় মাঘান উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবারসহ আশ্রয় নিয়েছেন। তার আড়াই বছর বয়সি নিদিল নামে এক শিশু সন্তান রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেন আবু বক্কর সিদ্দিক।
যুবতী নুরমিন কান্না কন্ঠে অভিযোগ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি ত্রাণ দিচ্ছে তাই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সেখানে যাই। চেয়ারম্যান আবু বক্কর মানুষকে দেখে দেখে ত্রাণ দিচ্ছেন। আবার অনেকের সাথে দুর্ব্যবহারও করছেন। আমি ত্রাণের প্যাকেট আনতে গেলে আমাকে মাথায় ও গালে চড় মারেন। আমার দেবর সজিবকেও তিনি মেরেছেন।
এছাড়া বয়স্ক অনেকের সাথে খারাপ আচরণও করেছেন। ত্রাণও পেলাম না, উল্টোও মার খেয়ে এলাম। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ভূক্তভোগী ওই যুবতীর।
চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লাইনে ত্রাণ দেওয়ার সময় একটি ছেলে অসুবিধা সৃষ্টি করছিল। পরে মেয়েটিকে ঠেলা দিয়ে বলেছি পরে এসে নিয়ে যেতে।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জের ইউএনও মো. সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি জানান, জানতে পেরেছি লাইন ঠিক করতে গিয়ে ধাক্কা দিয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।