পেয়ার আহাম্মদ চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনীর পরশুরামে মুহুরী নদীর পাড় থেকে উদ্বার হওয়া ভারতীয় নারীর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জনু) বিলোনিয়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ এবং পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এসময় নিহত ভারতীয় নারীর বড় ছেলে রিপন দাস উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ আইনী প্রক্রিয়া শেষে ওই নারীর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এর আগে ফেনী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সকাল ১১টার দিকে নিহত নারীর লাশ এ্যাম্বুল্যান্সে করে পরশুরামে বিলোনিয়া সীমান্ত আনা হয়। মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম, ভারতের বিলোনিয়ার পুলিশ পরিদর্শক সিথি কান্ত বর্ধন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) বিলোনিয়া কোম্পনি কমান্ডার কবির আহাম্মদ, ভারতের বিলোনিয়ার বিএসএফ এর সহকারী কমান্ডার এম এম লালসহ দুদেশের পুলিশ, বিজিবি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের বিলোনিয়ার পুলিশ পরিদর্শক সিথি কান্ত বর্ধন জানান আরতি রানী দাস এর ছেলে তার মা হারিয়ে গেছে উল্ল্যেখ করে গত ৫ জুন বিলোনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন একদিন পরই বাংলাদেশে তার মরদেহ উদ্বার করেছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সোমবার পরশুরাম উপজেলার পৌর এলাকার দুবলা চাদ এলাকায় মুহুরী নদীর পাড়ে ভারতীয় এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্বার করা হয়। পরশুরাম থানা পুলিশ সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে দূবলাচাঁদ এলাকার লোকজন ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে ওই নারীর মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেন। কাউন্সিলর আবদুল মান্নান লিটন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরশুরাম থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রথমে ওই নারীর পরিচয় জানতে না পারলেও পরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত নারীর নাম আরতি রানী দাস। তিনি ভারতের ত্রিপুরা বিলোনিয়ার নামঠাকুর পাড়ার সুরেন্দ দাসের স্ত্রী। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেন সুরেন্দ দাসের আগের সংসারের মেয়ে প্রভারানী দাস। প্রভারানী দাস জানান, ৩০ বছর আগে তাঁর মা হিরনী রানী দাস মারা যাওয়ার পর তাঁর বাবা ভারতে গিয়ে আরতি রানী দাসকে বিয়ে করে সেখানে ঘর সংসার শুরু করেন। তারপর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাঁর দুই ছেলে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। আরতি রানীর স্বামীর বাড়ি জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের জেলে পাড়ায়। নিহত আরতি রানী দাসের স্বামী সুরেন্দ দাস মারা যান বলে জানা গেছে। তবে কবে মারা গেছেন তাঁরা তা জানেন না। পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হওয়া ভারতীয় নারীর মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ভারতীয় পুলিশ, বিজিবি কর্মকর্তা এবং নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment