তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রকৌশলী কাওছার আহম্মেদ রাব্বীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইড়গাড়ামারা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে সোমবার দাফন করা হয়েছে । এর আগে বাড়ির পাশের পুনতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেয়। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার সবস্তরে মেধার স্বাক্ষর রাখা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কাওছার আহম্মেদ রাব্বীর মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তার স্বজন ও এলাকাবাসী। পুরো এলাকায় এখন শোকের ছায়া। বাবা, মা, ভাইবোন, দেড় বছর বয়সী একমাত্র ছেলে কিয়ান আহম্মেদ নাসিক ও ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন নীলাকে সান্ত্বনা দেয়ার কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। তার সামনে এখন শুধুই আঁধার। দেড় বছরের অবুঝ নাসিক এখনও বুঝতে পারছে না তার বাবা আর কোনোদিনই তাকে কোলে তুলে নিতে আসবেন না। গত রোববার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় পরমাণু শক্তি কমিশনের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বুয়েটের সাবেক মেধাবী ছাত্র প্রকৌশলী কাওছার আহম্মেদ রাব্বী তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়াপুরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুনতাইড়গাড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার আলীর ছেলে কাওছার আহম্মেদ। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী ছাত্র রাব্বী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। নিজ গ্রামের পুনতাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাশের গ্রাম সরদারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সঙ্গে পড়াশোনা করে গোবিন্দগঞ্জের শামীম অ্যান্ড শাকিল কারিগরি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ভালো ফলাফলের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পাস করার পর পরমাণু শক্তি কমিশনে প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। নিহত রাব্বীর কাছে আত্মীয়রা জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রাব্বী তৃতীয় ছিলেন। চার বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তার দেড় বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। তার শ্বশুর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কর্মকর্তা নূরুন্নবী জানান, রাব্বীর স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন নীল নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগামী বৃহস্পতিবার তার সিজারিয়ান অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment