জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশের দুই শান্তিরক্ষী সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য মরণোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পদক’ দিয়ে সম্মান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এই দুই পদক নিহতদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।মরোণোত্তর পদক পেয়েছেন—মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান ও ল্যান্স করপোরাল মো. রবিউল মোল্লা।
মেজর এ কে এম মাহমুদুল হাসান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক-এ নিয়োজিত মিনুসকা মিশনে এবং ল্যান্স করপোরাল মো. রবিউল মোল্লা দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের মরনোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক দেওয়া করা হয়। করোনা মহামারিজনিত কারণে দুই বছর পর আবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সশরীরে দিবসটি পালন করা হলো।
এবারের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী ৪২টি দেশের ১১৭ জন শান্তিরক্ষীকে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক প্রদান করা হয়।জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেজ বাংলাদেশসহ ৪২টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে স্ব স্ব দেশের পদক তুলে দেন।
ওই পদক প্রদান অনুষ্ঠানে রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করে।দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। শোক বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ব শান্তির জন্য পবিত্র দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ তার অনেক সাহসী সন্তানকে হারিয়েছে।রাবাব ফাতিমা শান্তিরক্ষায় জীবনদানকারী সব বীর শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পদক প্রদান অনুষ্ঠানের পর কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী সকল শান্তিরক্ষীদের সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে অবস্থিত ‘শান্তিরক্ষী মেমোরিয়াল সাইট’ এ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এ সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কর্মরত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়