কুষ্টিয়া প্রতিনিধি-
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কয়েকটি সরকারী প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। আর অভিযোগের তির ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের দিকে। সরোজমিন ঘুরে এবং এলাকার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগের বস্তবতার প্রমান পাওয়া যায়। তবে সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ বলছে এসব অভিযোগ সম্পর্কে তাদের জানা নেই তবে অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মোতাবেক জানাযায়, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী চিলমারী ইউনিয়নে ২ টি টয়লেট নির্মান বাবদ ২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যাবহার করে বিধি লংঘন করে তার বাড়ী সংলগ্ন নিজের ব্যাক্তিগত জমিতে একটি টয়লেট নির্মান করেন। যা সাধারন জনগনের কোন কাজেই আসছে না। একই প্রকল্পের আওতায় তহ-হাটে আরো একটি টয়লেট ও প্রশ্রাবখানা নির্মাণ করার কথা থাকলেও তা নির্মাণ না করেই টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন চেয়াম্যান আব্দুল মান্নান। একইভাবে ২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার(কাবিখা) ১ম পর্যায়ের অনুকুলে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী তারিখে দৌলতপুর উপজেলার স্মারক নং ২১-৩ পত্রমূলে ৩ লাখ ১১ হাজার ৫৫৪ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে মনগড়া পিআইসি কমিটি গঠন করে চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ইউনিয়ন পরিষদের কথা বলে নিজ বাড়ির পাশের নিজ জমিতে টিনসেড ঘর নির্মাণ করেন। যা সম্পূর্ন বিধি বহিভূত। এছাড়াও ঘর নির্মানের ক্ষেত্রেও নিন্মমানের নির্মানসামগ্রী ব্যাবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গোডাউন ঘর নির্মানের জন্য গত ৩ জানুয়ারী ১লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়াম্যান ওই টাকায় তার ব্যাক্তিগত জমিতে গোডাউন ঘর নির্মান করে ব্যাক্তিগত ব্যাবসার কাজে ব্যবহার করছে। এছাড়াও ২১-২২ অর্থবছরে চিলমারী ইউনিয়নের অনুকূলে বরাদ্দপ্রাপ্ত ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ১২৮ জন শ্রমিকের নিয়োগ নিবন্ধনে অনিয়ম করে অর্থ উত্তলনের অভিযোগও আছে। স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করে জয় লাভ করলেও স্খানীয় ভাবে ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়ায় এসব বিষয়ে দেখার পর ও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না। আবার সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ তারাও যেন সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকছে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, চারিদিকে নদী বেষ্টিত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলামারী ইউনিয়নটিকে বলা যায় কুষ্টিয়া জেলা থেকে বিছিন্ন একটি ইউনিয়ন। যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় সীমান্ত ঘেষা এই ইউনিয়নটি অনেকটাই অবহেলিত। তার উপরে সরকারী বরাদ্দের টাকার কাজ না করে হরিলুটের কারনে জনসাধারনের দূর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। কোন প্রকল্পের কাজে কোন অনিয়ম করা হয় নাই। তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এগুলো বলা হচ্ছে। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নাই। চেয়ারম্যানের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, সরকারী প্রকল্পের বিষয়ে এরকম অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। তারপরেও আমি বিষটি খতিয়ে দেখবো, কোন ধরনের অনিয়ম পেলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment