ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) স্ব স্ব আবাসিক হলে এই আয়োজন করা হয়। হল কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অন্য সব হলে ইফতার বিতরণ করা হলেও উল্টো চিত্র ছিল সাদ্দাম হোসেন হলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইফতারি বণ্টন করতে সাদ্দাম হোসেন হল প্রশাসনের ভূমিকায় নামে ওই হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইফতারি বরাদ্দ থাকলেও বিতরণের দায়িত্বে ছিলো না হল প্রশাসনের কেউ। ছাত্রলীগ কর্মীরা এটাকে হল প্রশাসনের গাফিলতি বললেও হাউজ টিউটরদের অভিযোগ ইফতার বন্টনের বিষয়ে তারা অবগত নন।
জানা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ইফতারের ব্যবস্থা করেছে স্ব স্ব হল প্রশাসন। সাদ্দাম হোসেন হলে ইফতারির জন্য তিনশত পঞ্চাশ প্যাকেট খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই খাবার বিতরণের দায়িত্বে থাকছে না হল প্রশাসনের কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তা। হলের খাবার বিতরণে হল প্রশাসনের কেউ থাকবে না কেন এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যাদের কাছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা আদৌও এ খাবার ঠিকভাবে বণ্টন করবে বলে আমার মনে হয় না।’
এবিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী শিমুল বলেন, ‘হল প্রশাসন আমাদের কাছে ইফতারের সাড়ে তিনশত প্যাকেট দিয়ে বণ্ঠন করতে বলেছে। হলের পরিচ্ছন্ন কর্মী মাধব প্যাকেট গুলো দিয়েছে। এসব হল প্রশাসনের গাফিলতি।’
এ বিষয়ে হলটির কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তিনটার সময় চলে আসছি। আর কেউ যাবনা জন্য হলের ছাত্রলীগের শিমুল আর রাব্বিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওরা বললো রুমে রুমে গিয়ে দিয়ে আসবে।’
হলের আবাসিক শিক্ষক ড. শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, “ইফতারির বিষয়ে আমাদের কোন আবাসিক শিক্ষক জানেন না। কারা বণ্টনের দায়িত্বে আছে এ বিষয়ে প্রভোস্ট ভালো বলতে পারবেন।”
এবিষয়ে প্রভোস্ট প্রফেসর গৌতম কুমারকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।