বঙ্গোপসাগরকে যোগাযোগ, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার সেতু হিসেবে কাজ লাগাতে হবে। বুধবার একথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিন বিমসটেক (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation) সামিট-২০২২-এর জন্য ভার্চুয়ালি নিজের বক্তব্য পেশ করেন মোদি। নিজের ভাষণে আঞ্চলিক নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। একইসঙ্গে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক আদান-প্রদান আরও বাড়ানোর পক্ষেও জোর দেন তিনি
এদিন মোদি তার ভাষণে বলেন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, উন্নতি তরান্বিত করতে হলে বঙ্গোপসাগরকেই যোগাযোগ, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার সেতু হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়া দরকার। পারস্পরিক সহযোগিতা ও আদানপ্রদানেরও সময় এসেছে। এটাই এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি জরুরি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি মনে করেন, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রত্যেকটি দেশের নেতারাই নতুন উদ্যোগে কাজ করতে ইচ্ছুক। এই অঞ্চলের উন্নয়নে এবং নিরাপত্তায় ভারত বড় বিনিয়োগ করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মোদি। এর জন্য আপাতত ভারতের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। মোদির মতে, সন্ত্রাসবাদ বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বড় সমস্যা। জঙ্গি কার্যকলাপের মোকাবিলা করতে হলে আইনি প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় করতে হবে। তার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে নির্দিষ্ট চুক্তি সম্পাদন করা যেতে পারে। এতে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ নয়, অপরাধ দমনেও বড় সাফল্য আসবে।প্রসঙ্গত, এটি ছিল বিমসটেক ২৫তম বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষেই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘বিমসটেক -এর ২৫তম বর্ষপূর্তি সংক্রান্ত সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমি মনে করি। এই সম্মলনের ফলে বিমসটেক-এর ইতিহাসে স্বর্ণযুগ শুরু হবে।’
তার এদিনের ভাষণে শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্টেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, “প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ অত্যন্ত দক্ষ একজন নেতা। তবে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা আমাদের এই অঞ্চলের উপরেও প্রভাব ফেলেছে। আমাদের অর্থনীতি এখনও লড়াই করে চলেছে। তাই আমি মনে করি, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
মোদি জানিয়েছেন, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তার জন্য পেশাদারদের সাহায্য নিতে হবে। ভারত এই বিষয়টি নিয়ে সরকারি স্তরে কাজ করতে ইচ্ছুক। প্রাথমিকভাবে এই কাজে ১০ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক সহযোগিতা করবে নয়াদিল্লি। সূত্র: টিওআই।