এবার পশ্চিমাদের এক হাত নিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তার দাবি ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া নিজেদের অধীনে নেওয়ার সময় যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। ফলে রাশিয়া পশ্চিমাদের দৌড় বুঝে গেছে।
আর সেই সাহস থেকে ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালাতে পারছে রাশিয়া, এমন দাবি করে এরদোগান বলেন, ‘যদি (ক্রিমিয়া সংকটের সময়) পশ্চিমারা তখন জোর গলায় প্রতিবাদ করতো, তবে আজকে আমাদের এমন দিন দেখতে হতো? যারা ক্রিমিয়ার সময় নীরব ছিলো, তারাই আজকে কথা বলছে।’
এসময় এরদোগান আরও জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে তুরস্ক সবধরনের চেষ্টা করছে। খুব শিগগিরই হয়তো এই সংকটের সমাধান হবে, দুই পক্ষই অস্ত্র ফেলে শান্তির পথে আসবে।
এদিকে বেলারুশের আকাশ ব্যবহার করে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ান বিমানবাহিনী। শুক্রবার এমন দাবিই করেছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। ইউক্রেন বিমান বিাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এটা উস্কানি। তারা (রাশিয়া) আসলে বেলারুশকেও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে চায়।’
যদিও বারবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, কোনোভাবেই ইউক্রেন অভিযানে রাশিয়ার সাথে বেলারুশের সেনারা অংশ নেবে না। তবে শুরু থেকেই ইউক্রেন অভিযোগ করে আসছে, বেলারুশের ভূখণ্ড ও আকাশ সীমা ব্যবহার করে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে সংকট সমাথানে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা সমঝোতা আলোচনায় বসছে। তিন দফা আলোচনা চলমান থাকলেও এখনও যুদ্ধ বন্ধের কোনো ঘোষণা আসেনি। যদিও আজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, দুই দেশের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা