ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। কয়েক দিন আগে ধারণা করা হয়েছিল রুশ সেনা নিহতের সংখ্যা তিন হাজারের আশেপাশে। তবে দ্রুত সে সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের শহরগুলোতে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা রুশ সেনাদের মৃত্যুর এই হারকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএজ নিউজকে তিনি বলেন, এ যুদ্ধে প্রায় ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার রুশ সেনা আহত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। সাধারণত যুদ্ধে আহতের সংখ্যা নিহতের তিন গুন হয়, সেই অংক কষেই আহত রুশ সেনাদের সংখ্যার ধারণা করেছেন তিনি।
যদিও ওই মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেছেন যে, এই ভয়াবহ ক্ষতির পরেও রাশিয়ান সেনারা এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে পারবে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ১২ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। যদিও ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর গত সপ্তাহে রাশিয়া প্রথমবার জানায়, ইউক্রেনে তাদের ৪৯৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন। তবে আহত সেনার সংখ্যা জানায়নি। রুশদের পাশাপাশি ইউক্রেনেরও কয়েক হাজার সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেনের ২ হাজার থেকে ৪ হাজার সেনা নিহত হয়েছে এই যুদ্ধে। গত ৯ দিন ধরে মারিউপোল শহর ঘিরে রেখেছে রুশ সেনারা। সেখানে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়। এখন পর্যন্ত ১৮ হাসপাতাল কিংবা এ্যাম্বুলেন্স রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এসব হামলায় অন্তত ১০ নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন।
তবে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা সত্বেও ইউক্রেনের শহরগুলো প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েক দফা যুদ্ধবিরতির কারণে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ শহরগুলো ত্যাগ করার সুযোগ পেয়েছে। তারপরেও যারা ভেতরে আটকা পড়েছেন তারা খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সংকটে ভুগছেন।