দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রক্ষণশীল দল রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা ইউন সুক ইওল। ৯৮ শতাংশেরও বেশি ভোট গণনা করা হয়েছে, ইউন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে মিউং এর ৪৭.৮ শতাংশের বিপরীতে ৪৮.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই উৎসাহ-উদ্দিপনা নিয়ে বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ মানুষ।
নির্বাচনে জয়ের পর ইউন বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, তিনি সংবিধান-সংসদকে সম্মান করবেন এবং দেশের পরবর্তী নেতা হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন। নির্বাচনের ফলাফলকে ‘মহান মানুষের বিজয়’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
সংবর্ধনা বক্তৃতায় ইউন বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমাদের প্রতিযোগিতা এখন শেষ। আমাদের হাত মেলাতে হবে এবং জনগণ ও দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
অন্য আরেক অনুষ্ঠানে ইউন বলেন, ‘আমি জনগণের জীবিকার দিকে মনোযোগ দেব, যারা প্রয়োজনে তাদের উষ্ণ কল্যাণ পরিষেবা প্রদান করব এবং আমাদের দেশ যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মুক্ত বিশ্বের একটি গর্বিত, দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে কাজ করতে পারে সেজন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করব।
ইউন আগামী মে মাসে দায়িত্বগ্রহণ করবেন। বিশ্বের দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশকে পাঁচ বছরের জন্য নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
কোরিয়ার দুইটি বড় রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং পিপল পাওয়ার পার্টির প্রার্থীসহ অন্যান্য দল মিলিয়ে মোট ১৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
ইউন কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, যার পূর্বে কোনো আইন প্রণয়ন বা মন্ত্রিসভার অভিজ্ঞতা নেই। ৬১ বছর বয়সি ইউন সুক ইওল, রাজনীতিতে নতুন আবির্ভূত হয়েছেন গত জুনে তার রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থিতা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে।
তিনি পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিরোধী দল এবং আইন প্রণেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হবেন কি না সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন।