ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। আজ সোমবার হামলার পঞ্চম দিন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
গত চার দিনে ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে রুশ বাহিনী। কোনও কোনও স্থানে ইউক্রেনীয় বাহিনী ও সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
এদিকে, কিয়েভে থাকা মার্কিন দূতাবাস ইউক্রেনে থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ বলে মনে হলে ‘ব্যক্তিগত ব্যবস্থায়’ দেশটি ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিকে দূতাবাস ‘অনিশ্চিত’ বলে অভিহিত করেছে এবং কোন রুট নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে ‘সতর্ক বিবেচনার’ আহ্বান জানিয়েছে। কারণ রুটগুলোর কিছু আছে যানজটপূর্ণ, কিছু আবার যুদ্ধ অভিযানের সংস্পর্শে রয়েছে এবং অন্যগুলোর বেশ কিছু অবকাঠামো, যেমন সেতু এবং সড়ক ধ্বংস করা হয়েছে।
দূতাবাস আরও সতর্ক করেছে যে, পোল্যান্ডের বেশিরভাগ সীমান্ত পারাপার- যা সরাসরি ইউক্রেন ও মলডোভার পূর্বে অবস্থিত – সেখানে অত্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয় যা কখনও কখনও ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, আনুমানিক তিন লাখ ৬৮ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে জীবন বাঁচতে ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পোল্যান্ডের পথে যাত্রা করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইউক্রেনে প্রায় ৬ হাজার ছয়শ’ মার্কিন নাগরিক বাস করে। তবে এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে, তাদের মধ্যে কতজন এখনও দেশটিতে রয়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি