শাহ মো জহরুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে ৪চার দফার উপর লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।এই বিষয়ে তারা দ্রুত প্রাধানমুন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
আজ শুক্রবার (২৫ফেব্রুয়ারি)বিকাল ৪.ঘটিকার সময় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।তারা আরো বলেন গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের সামনেই আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে,কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রোহোন করেননি। তাই আমারা তাদের উপর কোনো আস্তা রাখতে পারছি না। আমরা সরা সরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবীসমূহ হলো:
১। ধর্ষকের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার, শনাক্ত করে নাম প্রকাশ ও অতি দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড/ ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
২। ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত, উপাচার্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর ন্যক্কারজনক হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
৩। ধর্ষণের ঘটনার আন্দোলনরত উপাচার্যসহ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের শিবির বলা। হামলার স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবস্থান সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করতে হবে।
৪। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
অবস্থান নেওয়া ইতিহাস বিভাগের তামিরুল হক জানায়, ‘আমরা ধর্ষণের বিচার সহ আমাদের হামলাকারিদের বিচার চাই। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করছি।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল রাজু জানান, ‘ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হতে হবে আমরা কল্পনা করিনি। এই হামলা এবং বোনের ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার চাই, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা জানান, বিকাল চারটার দিকে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে প্রশাসনিক ভবনের নিচে এবং আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর যদি আসামিদের নাম প্রকাশ না করা হয় তাহলে সন্ধ্যা ৬ টায় মশাল মিছিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। যার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সদর থানা এবং পরে মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয়রা হামলা চালিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর সহ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আহত করে।