প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বর্তমান কমিশন সাফল্যের সঙ্গে সব নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। কোনো নির্বাচন বাকি রেখে যাচ্ছে না কমিশন। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। কারও কথায় নয়, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছেন। সব নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তা নয়। মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে, আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে।
পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবক’টি নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে, তা বলা যাবে না। কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে।
সিইসি বলেন, একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করেন একজন। বাকি ছয়জনের সবাই তো বলেন না, কিন্তু সমালোচনা তো হবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বাভাবিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শব্দসৈনিক শাহীন সামাদ, নাট্যকার হাসান ইমাম, শেখ শহীদুল ইসলাম, আ স ম ফিরোজ, শামসুল হক টুকু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রানা দাশগুপ্ত, আনোয়ার বেগম, রশিদুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সিইসি কেএম নূরুল হুদাও স্মার্টকার্ড গ্রহণ করেছেন।
এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিইসি বিদ্যমান ডাটাবেজে নতুন কিছু যোগ- বিয়োগের জটিলতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের ডাটাবেজ যেভাবে তৈরি করা তাতে নতুন কোনো বর্ণ বা শব্দ যোগ করা কিছুটা জটিল। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা অনেক খাটাখাটনি করে এটা করেছেন। ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দ যুক্ত করতে গিয়ে প্রথমবার একটু জটিলতা হয়েছে। তবে, এখন আর জটিলতা নেই। আমরা সব মুক্তিযোদ্ধাকে এই কার্ড সরবরাহ করতে পারবো।
এসময় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, আজকের অনুষ্ঠানটি আমাদের জন্য একটি গৌরবের ব্যাপার। তবে এটা যেন এখানে সীমাবদ্ধ না থাকে। আজকে আমরা যেভাবে সম্মানের সঙ্গে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছি, দেশের সব মুক্তিযোদ্ধা যদি এভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্টকার্ড পায় সেটাই হবে এই অনুষ্ঠানের সার্থকতা।