মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে লাভলী (২৮) নামের এক নারীকে পিটিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম করেন প্রতিবেশী সেন্টু ও তার দুই ছেলে, ভাই, ভাইয়ের বউসহ ৫ জন।
আহত নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এঘটনা ঘটেছে বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারী) সকালে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের, সরিষামুড়ি গ্রামে।
ইউপি সদস্য শাহীন খা বলেন, লাভলী আক্তারের স্বামী মরে যাওয়ার পরে প্রায় তারা ওয়ারিশ দ্বাবি করতো। কিন্তু মেয়েটাকে বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করে থাকে তারা, অসহায় গরীব বলে কিছু বলতে পারছে না! বুধবার সকালে জোর করে জমিতে কুয়াশার সকালে চাষাবাদ করতে গেলে লাভলী বাঁধা দিলে ওরে বিভিন্ন ভাবে শারিরীক নির্যাতন করে মাথা ও হাতে জখম করে দিয়েছে।
আহত লাভলী বলেন, শুক্রবার সকালে কুয়াশার মধ্যে আমার জমিতে ওয়ারিশ দ্বাবি করে চাষাবাদ করতে গেলে দৌড়ে এসে বাঁধা দিলে মৃত্যু ময়েজউদ্দিনের ছেলে সেন্টু (৫৫) ও তার ছেলে মিরাজ (২৫), হাসান (২০), হেলেনা ও রেশমা আমাকে তাদের ভাই সালাম মাষ্টারের নেতৃত্বে বেধরক মারধর করেন।
তাদের মারধরে আমার মাথা ও হাতে জখম হয়। ডাক চিৎকার শুনে আমার ১৪বছরের মেয়ে দৌড়ে আসলে ওরেও মারধর করেছে! আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
মুঠোফোনের মাধ্যমে হাবিবের সাথে কথা বললে সে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি ওখানে ছিলাম না! ওখানে শুধু আমার ভাই সেন্টু ছিল, তার সাথে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারি এমন কিছু ঘটেনি। নিজের মাথা ও হাত নিজেই কেটে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।