টিকটিক করতে হরেক রকমের পোশাক পরতে হয়। এ জন্য ভালোই খরচ হয়। সেই টাকা জোগাড় করতে চুরির পথে নামের ৪ তরুণ। রাতে গ্রিল কেটে বাসাবাড়িতে করেন চুরি। আর দিনে করেন টিকটক। এই চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১৫ জানুয়ারি রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর বনানীর এইচ-ব্লক ৭ নম্বর রোডের ‘শিখবে সবাই সলিউশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রিল কেটে ৩ জন ভেতরে প্রবেশ করেন। আর একজন ছিলেন অফিসের বাইরের রাস্তায়। অফিসের বিভিন্ন রুম ঘুরে ল্যাপটপ এবং নগদ অর্থ চুরি করেন তারা। পরে ৩টা ৩৬ মিনিটে এ মালামাল নিয়ে বের হয়ে যান এই চোর চক্র। এর মধ্যে একজনকে দেখা যায়, খুশিতে নাচতে নাচতে বের হয়ে যাচ্ছেন।
এই ভিডিও দেখে ওই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতাররা পুলিশকে জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া অফিসের পাশেই ছিল শহীদের দোকান। সেখান থেকেই চুরির পরিকল্পনা করেন তারা। পুলিশ বলেছে, যেসব বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে নিরাপত্তা ঘাটতি আছে, সেগুলোকে অপরাধীরা বেছে নিচ্ছেন চুরি কিংবা ডাকাতির জন্য।
ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, তারা অনেকদিন ধরেই চুরি, ছিনতাই এবং মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই কাজগুলো করে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (লাইকি ও টিকটক) নাটক-সিনেমা বানিয়ে থাকেন। এখানে যে টাকা প্রয়োজন তা মেটানোর জন্যই বিভিন্ন অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রিল ভেঙে মূল্যবান সামগ্রী (মোবাইল, লেপটপ, কম্পিউটার, টাকা) নিয়ে যায় এবং সেগুলো খুবই অল্প দামে বিক্রি করে দেয় তারা।
তিনি বলেন, যেসব জায়গায় মূলবান জিনিস থাকে কিন্তু রাতে কোনো গার্ড থাকে না; সেসব জায়গায় সিসিটিভির পাশাপাশি নিজেদের নজরদারি থাকা উচিত।