সাভারের আশুলিয়ার চালকের রেষারেষিতে এ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় ৯ বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু আফসানা। এ ঘটনার সময় ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার একাধিকবার অনুরোধ করেও মারমুখী অভিযুক্ত হাইয়েস গাড়ির চালককে থামাতে পারেননি। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় শিশুটির বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর ঘপ্টনার সঙ্গে জড়িত দুই চালককে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার দোপাকান্দী গ্রামের আব্দুর রহমান খানের ছেলে হানিফ খান (৪০)। তিনি আশুলিয়ার বাইপাইলে বসবাস করেন ও একটি রেন্ট এ কারের প্রাইভেটকারের চালক। আরেকজন টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের খুপিবাড়ি গ্রামের মৃত সুরুজ মন্ডলের ছেলে মো. ইমরান(২৫)। তিনি পেশায় গাড়ি চালক। তাকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন হাইয়েস মাইক্রোবাসের চালক নজরুল ইসলাম। মামলার স্বার্থে বাকি আসামীদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
আজ বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) সামিউল ইসলাম। এর আগে মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চালক ইমরান হোসেন ও হানিফ খানকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জানায়, নিহত আফসানার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এস আই সামিউল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িত সকলের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত দুই চালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শিশু আফসানাকে বহনকারী এ্যাম্বুলেন্সটি বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়ক হয়ে গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে ফিরছিলো মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে। ওভারটেকিং এর মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়ার বাইপাইলে পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্সটিকে পিছনে থাকা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস সামনে এসে গতিরোধ করে। মাইক্রোবাসের চালক নজরুল ইসলাম নেমে এ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহকারীকে মারধর শুরু করে। পরে আরও কয়েকজন সহযোগিকে ডেকে আনে নজরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে এ্যাম্বুলেন্সের চাবিটিও ছিনিয়ে নেয় সে। এসময় এ্যাম্বুলেন্সেই বাবার কোলে মারা যায় শিশু আফসানা।