নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কমিশনের ওপর কোন রাজনৈতিক দলের চাপ ছিলনা এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে যেকোনো অনিয়ম-সংকট তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে রিপোর্টাস ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি আয়োজিত মিট দ্যা প্রেস আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।এসময় সিইসি বলেন, কুমিল্লা নির্বাচনে রাজনৈতিক চাপ ছিল না। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনও সন্তোষজনক হয়েছে। তবে প্রার্থীরা সহনশীল না হলে কমিশনের পক্ষে নির্বাচনে সংঘর্ষ, সহিংসতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলেও জানান সিইসি।দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা কঠিন তবে অসম্ভব নয়, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশে রয়েছে। সমালোচনা সবার জন্য উন্মুক্ত, তা না হলে এই প্রতিষ্ঠান থাকবেনা।
কে এম নূরুল হুদা আরও বলেন, সমালোচনা গঠনমূলক হলে গ্রহণ করা হয়। পাঁচ বছর কাজ করেছি। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশে রয়েছে। সুশীল সমাজ সমালোচনা করবে না কেন, সমালোচনা হবেই, হতেই হবে। সবার জন্য উন্মুক্ত, তা না হলে এই প্রতিষ্ঠান থাকবেনা।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে কাজ করার সুযোগ দেননি বলেই তিনি সমালোচনা করেন। কমিশনে বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে।
এছাড়া, সাবেক সিইসি শামসুল হুদা হঠাৎ করেই ছবক শিখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সিইসি। সিইসি বলেন, তিনি সুজনকে সঠিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনে কাজ করতে দেননি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা থাকলেও সেই কমিশন সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে, নির্বারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেনি।সার্চ কমিটি ব্যবস্থা ভালো, তবে আইন হওয়া সবচেয়ে ভালো।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়