আমিনুল হক, সুনামগঞ্জ:
দোয়রাবাজার উপজেলা নির্বাচনে এবার কে হচ্ছেন উপজেলার কান্ডারী এ নিয়ে নির্বাচনী মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। একদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এর অনেক নেতা-কর্মীই ক্ষুব্ধ দলের দূর্দীনে যারা দলীয় কর্মকান্ডে সময় দিয়েছেন, তারা মনোনয়ন বঞ্চিত। নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, দলীয় হাইকমান্ড ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভুল সিদ্বান্তে মনোনয়ন দিয়ে ভড়াডুবি হয়েছিল। এইবারের দোয়রাবাজার উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন শঙ্কায় । যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তার মাঠ পর্যায়ে কোন পরিচিতি নেই । তাই অনেক নেতাকর্মীরাই আওয়ামী বিদ্রোহীর পক্ষে কাজ করছেন। অনেকে আবার দলের ভাবমুর্তী রক্ষায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। এ দিকে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি থেকে অংশ গ্রহন করে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির উপজেলার নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি থেকে যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি কোন নেতা কর্মীকে কষ্ট দিতে নারাজ। প্রায় সময় তিনি একা একাই প্রচারনা করে যাচ্ছেন। এমনকি পোষ্টার লাগানোর কাজও তিনি নিজেই করছেন। সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহীরাই এগিয়ে আছেন। বিদ্রোহীরা নির্বাচনী মাঠকে সরগরম করে রাখছেন। নিবৃাচনকে ঘিরে দোয়রাবাজার উপজেলার হাটবাজার থেকে শুরু করে চায়ের স্টলে নির্বাচনী আলাপচারিতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মানুষজন। সুনামগঞ্জের বৃহত্তর উপজেলা দোয়ারাবাজারের গ্রামীণ হাট-বাজার থেকে শুরু করে বৃহত্তর বাজার গুলোও বিদ্রোহীরা মাতিয়ে রাখছেন প্রচারনার মধ্য দিয়ে। নির্বাচনী মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরব, দরীয় প্রার্থীদের ভুমিকা নিরব পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানান ভোটাররা। ৪ জন প্রার্থীর প্রচারণায় রয়েছেন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তৎপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের শুভাকাংঙ্কীরা। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অনেকেই চালাচ্ছেন কৌশলী গণসংযোগ। এই উপ-নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলাম (নৌকা), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল বারী ( আনারস) , দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু ( কাপ পিরিচ), মোহাম্মদ আবু সালেহ আহমদ ( লাঙ্গল), প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের ভোটার মামুনুর রশিদ বলেন, ‘মানুষ চায় উন্নয়ন। যার মাধ্যমে উন্নযন হবে ভোট তাকেই দিবেন।’ অন্যদিকে বাংলাবাজার এলাকার তরুণ ভোটার নুর আলম জানান, ‘মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা গড়তে যার ভূমিকা থাকবে এমন ব্যক্তিকেই আমরা নতুনরা ভোট দিতে চাই। নরসিংপুর ইউনিয়নের ভোটার সৈয়দ আহমদ বলেন, ‘এই উপজেলার মানুষ অধিকার বঞ্চিত। মানুষের অধিকার আদায়ে যে কাজ করবে এমন ব্যক্তিকে ভোট দিবেন।’ এদিকে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন যারা মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি রুখে, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে তাকেই প্রার্থী হিসাবে বেছে নিবেন তারা। তবে অধিকাংশ ভোটাররা তরুনদের নেতৃত্ব চায়।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment