ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক যাত্রীবাহী ল;ঞ্চের ই;ঞ্জিন থেকে ভ;য়া;বহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অ;ল্পের জন্য র;ক্ষা পেয়ে;ছেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ।তিনি লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের নীলগিরির যাত্রী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চ থেকে লাফি;য়ে বাঁচা;য় সময় তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভে;ঙে গেছে। বর্তমানে তারা ঝাল;কাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বরগুনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের ম;রদে;হ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছে।অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জ;নের অ;বস্থা আশ;ঙ্কা;জনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইউএনও মোহাম্মদ আল মুজাহিদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঢাকা থেকে অফিশিয়াল কাজ সেরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার আসছিলেন তিনি।রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভা;ঙে। এ সময় লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর মা;ঝখা;নে অব;স্থান করছিল। অনেক;কেই নদী;তে লা;ফি;য়ে বাঁ;চার চে;ষ্টা করেন।
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ল;ঞ্চ থেকে তারাও লা;ফ দিলে তৃতী;য় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভে;ঙে যায়। তিনি আরও বলেন, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতা;হত হয়েছেন। এ ছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন।লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী জানান, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি ল;ঞ্চ টার্মি;নালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্চিনরুমে আগুন লেগে যায়।
এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁ;পিয়ে প;ড়ে সাঁতরে তীরে উঠ;তে পেরেছেন। অনে;কে হয়;তো পারেননি।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা গণমাধ্যমকে জানান, রাত তিনটার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে সে আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে।জীবন বাঁচাতে অনেক যাত্রী লঞ্চ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লঞ্চটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল বলেও জানান উদ্ধার হওয়ারা।