কিশোরী মেয়েটি যৌন হয়রানির শিকার হয়ে নিজের দুঃসময়ে কাউকেই পাশে পায়নি। নিগ্রহ তাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করেছিল অবসাদ, হতাশা আর একাকিত্ব। এমন কি, নিজের আত্মীয়- বন্ধুদেরও আর নিরাপদ মনে হচ্ছিল না। তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে অকালে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন।
মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে মেয়েটি লিখে গেছেন, ‘পৃথিবীতে কেবল মায়ের গর্ভ আর কবরই মেয়েদের জন্য নিরাপদ স্থান, আর কোথাও নয়।’ তার পরিণতির জন্য তিনি সুইসাইড নোটে আশপাশের সবাইকে দায়ী করে গেছেন। সম্প্রতি এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুতে।
আত্মহত্যা করা এই মেয়েটি চেন্নাইয়ের পুনামাল্লির বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। নির্যাতিতার বাবা-মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ত সে। কিন্তু ওই স্কুলেরই এক শিক্ষকের ছেলের তাকে হেনস্থা করে। এরপর সে স্কুল বদল করে সরকারি স্কুলে ভর্তি হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর মেয়েটিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চেন্নাইতে এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২১ বছর বয়সী ছেলেটি পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি থেকে শিশু সুরক্ষা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটির বক্তব্য, তার সঙ্গে ওই নাবালিকার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। শেষ দু’সপ্তাহ ধরে সে মেয়েটিকে হয়রানি ও নির্যাতন করছিল। আমরা নোংরা মেসেজ ও ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পেয়েছি। এ ঘটনার আট মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেয়েটি। তার রুসে পাওয়া সুইসাইড নোটে কিশোরী অভিযোগ করেছে, তার স্কুলও নিরাপদ নয় এবং শিক্ষকদেরও বিশ্বাস করা যায় না। মেয়েটি লিখেছে, ‘মানসিক অত্যাচার’র কারণে সে পড়তে, এমনকি ঘুমাতে পারছিল না।
সূত্র : এনডিটিভি ও নিউজ এইটটিন।