জামালপুর জেলা প্রতিনিধি, মোঃ সাইদুল ইসলাম সনিঃ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়েছে ২৪ জন।
রোববার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের মধ্যে কুলিয়া, দুরমুট, নয়ানগর, চরবানিপুকিয়া, নাংলা ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাইদা সুলতানা সূচি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৯ জন , উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ১১ জন , চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে ৪ জন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় আহত রোগী ভর্তি হয় ২৪ জন।
জানা গেছে, কুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মর্জিনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কুলিয়া উওর পাড়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে সংঘর্ষ ৩ জন আহত হয়েছে।
চরবানিপুকিয়া ইউনিয়নে ভাবকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৪ জন এবং একটি গাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। দূরমুট ও নয়ানগর ইউনিয়নে দুটি কেন্দ্রে ইউপি সদস্যের মধ্যে সংঘর্ষে আরো আহত হয়েছে ৫ জন। নাংলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চাড়লদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিউবওয়েল ও তালা প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত হয়েছেন ৪ জন। পরে ওই কেন্দ্রের ভোটাররা কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে দুপুর ২ টা দিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে মিছিল করছে তালা প্রতিকের মেম্বার প্রার্থী আছর উদ্দিন এর সমর্থকরা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার মাহমুদ বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় তিন ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। চরবানিপাকুরিয়া মধ্যেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, নয়ানগর ইউনিয়নের ভোরুঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুলিয়া ইউনিয়নের মর্জিনা হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র স্থগিত করা হয়।