সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরে তথ্য চাওয়া এবং পাওয়া দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে এমন কোন তথ্য দিতে দপ্তরগুলো বাধ্য নয় যা রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আপনারা কোনো দপ্তরে তথ্য চেয়ে যদি না পান, সেক্ষেত্রে আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিলে যদি প্রমাণিত হয় যে, আপনি যে তথ্য চেয়েছেন তা দেয়ার মতো ছিল কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা আপনাকে দেননি। তাহলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য অধিকার আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাই আসুন সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে আরো এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
শুক্রবারে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও তথ্য কমিশনের আয়োজনে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স রুমে উপজেলা তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তথ্য কমিশন বাংলাদেশের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার, তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. বুরহান উদ্দিন, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উদ-দৌলা, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমা কান্ত বিশ্বাস, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবুল খায়ের, সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ, আমিনুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, এনজিও প্রতিনিধি ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রোগ্রাম অফিসার দীপক বৈরাগী, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের টেকনিক্যাল অফিসার আসমা আক্তার, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মল্লিকা খাতুন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনারের একান্ত সচিব আমিনুল এহসান খান, তথ্য কমিশনের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলা উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান প্রমুখ।