এম এইচ রনি, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মাটি ও মানুষের বাতিঘর ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ । তিনি মানুষের পাশে দাড়াতে ও থাকতে নিজের বাড়ী নীলফামারীর জলঢাকাতে গড়ে তুলেছেন “ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন”। আর এই ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন ও সাধারন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে। তিনি তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গরীব মানুষদের আইনী সহায়তা, দরিদ্র নারীদের বিনামূল্যে দর্জি প্রশিক্ষন, দরিদ্র পরিবার সমুহকে ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টায় আর্থিক সহায়তা ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য নানাবিধ সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা সহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের জন্য নানাবিধ আন্দোলন করে চলেছেন।
তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন এর সভাপতি, আর প্রধান সমন্বয়ক যুব নেতা এনামুল হকের নেতৃত্বে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন শিক্ষক, যুব,ছাত্র, নারী ও মহিলা সংঘ, সনাতনধর্ম, মিডিয়া সেল সহ থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এ-র বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে। তিনি তার কমিটির নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ও জনগণের সহযোগীতায় হাটি হাটি পা পা করে মানব সেবার ব্রত নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
তুরিন আফরোজের স্বামী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী।তুরিন আফরোজ এক কন্যা সন্তানের জননী। তুরিন আফরোজ মনে করেন শুধু স্বামী আর সন্তান নন,প্রকৃত পক্ষে পুরো জলঢাকা তার পরিবার। তিনি মানুষকে আপন করে নিতে পারেন এক নিমেষেই। তাই তিনি এ পরিবারকে নিয়ে রয়েছে তার অসংখ্য স্বপ্ন। তাই তুরিন আফরোজ নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন নয়া জলঢাকা আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে। এগিয়ে যাক তুরিন আফরোজ তার স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে। আসুক নতুন প্রভাত তুরিনের হাত ধরে।
মানবাধিকার আন্দোলনে রাজপথ থেকে পুরো বিশ্বে তিনি এক বিস্ময়ের নাম। তুরিনকে মানুষ চেনে এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে। অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে পারেন না বলে মানুষ যেমন তাঁকে ভালবাসে, তেমনি তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র।
তুরিন আফরোজ অসহায় গরীব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন লড়াই সংগ্রাম করেন। মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরূদ্ধে দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে লড়াই করতে একটুও পিছপা হন নি তিনি। অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ তুরিন ছুটে গিয়েছেন দেশের যে প্রান্তেই সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হয়েছে। তাই তাঁকে দেখা গেছে কক্সবাজারের রামুতে, নোয়াখালির বেগমগঞ্জে, ব্রাম্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, যশোরের অভয়নগরে কিংবা দিনাজপুরের কর্ণাই গ্রামে। তিনি রাজপথের লড়াকু সৈনিক। মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে তাঁর ওপর জীবনঘাতী আক্রমণও কম হয়নি। কিন্তু কোন কিছুই দমাতে পারেনি তুরিন আফরোজ কে।
এদিকে তার পরিচিতি শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। শিক্ষা জীবনে তিনি অসামান্য মেধার পরিচয় রেখেছেন দেশে এবং বিদেশে। কর্ম জীবনেও একজন সফল ব্যাক্তি তিনি।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বৃহত্তর রংপুরের প্রথম মহিলা ব্যারিস্টার। তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চান আজীবন।