স্টাফ রিপোর্টার : ভাল বেতনে বাসায় কাজের কথা বলে ঢাকা থেকে দুর্গাপুর এনে ১৫ দিন আটকে রেখে ১৮ বছর বয়সি তরুণীকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠেছে ফাতেমা খাতুন (৪৩) নামে এক নারীর ওপর। শুক্রবার দুপুরের দিকে অভিযুক্ত নারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জানায় পুলিশ। এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা উল্লেখ করে ভিকটিম নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ফাতেমা খাতুন দুর্গাপুর উপজেলার পৌরশহরে চরমোক্তারপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তিসহ অন্যান্য নারীদের এলাকায় এনে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগ প্রতিবেশিসহ স্থানীয় অনেকের। এ ধরণের ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকবার পুলিশের কাছে আটক হলেও জামিনে বের হয়ে যান। তার বাড়িতে দুর্গাপুর উপজেলায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গে যাতায়াত রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। অন্যদিকে মাদারীপুরের রাজৈর থানাধীন চৌরাশি বাজিতপুর এলাকায় ভিকটিমের গ্রামের বাড়ি।
অভিযোগে জানা যায়, ভিকটিম গত এক বছর আগে বাবার সাথে ঝগড়া করে ঢাকায় মিতু আক্তার নামে এক নারীর সাথে পরিচয়ে তার বাড়িতে থাকতেন। অভিযুক্ত ফাতেমার আক্তারের সাথে মিতু আক্তারের পূর্ব পরিচিত থাকায় ভাল বেতনে বাসা বাড়িতে কাজে কথা বলে মিতুকে। পরে গত ১ সেপ্টেম্বর ভিকটিমকে দুর্গাপুরে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন ফাতেমা আক্তার।
আসার পরেরদিন থেকে ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতন করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেহ ব্যবসাসহ নিজ বাড়িতে আটকে রাখেন অভিযুক্ত ফাতেমা আক্তার। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে পতিতাবৃত্তির জন্য ভিকটিমকে সাজগোজ করতে বলে এবং এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে মারপিট করে অভিযুক্ত ওই নারী। এক পর্যায়ে ভিকটিম পালিয়ে পৌরশহরের মজিবনগর এলাকায় স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে অভিযুক্ত নারীকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম জানান, ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ফাতেমা খাতুনকে আজ (শুক্রবার) দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।