কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন (২৫) হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের পরে স্ট্রোক করে আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলমাকান্দা উপজেলায় নাজিরপুর ইউনিয়নে কান্দাপাড়া বাজারে তর্ক-বিতর্কে ও ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। নিহত মো. মফিজ আলী নাজিরপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাপসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে জানায় পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কান্দাপাড়া বাজারে নিহত আনোয়ারের মামা মোহাম্মদ আলীর সাথে দেখা হয় ইউপি আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজ আলীর। এসময় মফিজ আলী এবং তার সাথে থাকা আনোয়ার হত্যা মামলার এজারভূক্ত আসামি আনিসুল হকের বড় ভাই ওমর আলীর সাথে মোহাম্মদ আলীর ভাগিনাকে হত্যা ও মামলার বিষয়াদি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। বাজারে থাকা লোকজন উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।
পরে ওমর আলীকে সাথে নিয়ে আ.লীগ নেতা মফিজ আলী একই ইউনিয়নের শিবনগর শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। সেখানে উত্তপ্ত অবস্থায় ২-৩ বার চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মফিজ আলী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন ট্রলারে (ইঞ্জিন চালিত নৌকা) করে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুল্লাহ খান বলেন, মফিজ আলীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের দাফন সম্পন্নের পরে অভিযোগ দাখিল করবেন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
চলতি বছরের গত ২৪ জুন রাতে কলমাকান্দার পাশ্ববর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের চন্ডিগড় ইউনিয়নে বরইউন্দ বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলে খুন হন কলেজ ছাত্র আনোয়ার হোসেন। এরপর নিহতের বাবা মকবুল হোসেন ১০ জনকে অভিযুক্ত করে দুর্গাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।