জাতির পিতার খুনির নামে রাষ্ট্রের টাকায় জাদুঘর থাকতে পারে না।স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঈর্ষণীয় কর্মতৎপরতা দেখে জিয়াউর রহমান তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছে, এটাই জিয়ার অবদান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কারো দয়ার দান নয়। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থাকা এই জাদুঘর সরানোর জন্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকসহ চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম এবং প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য মহসিন চৌধুরী।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এম এ হান্নান, সেই ঘোষণার মাইক্রোফোন জিয়ার জাদুঘরে থাকবে না। তা কালুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার যোগ্যতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বার বছর ক্ষমতায়। আপনারা বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে সহযোগিতা করবেন। বাংলাদেশের ধ্বংসের ইতিহাস জিয়া পরিবারের সৃষ্টি। ধর্মের নামে রাজনীতি আর হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু এবং তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনার। প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বীর চট্টলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী সবসময় সহানুভূতিশীল। চলমান বৈশ্বিক করোনাকালে সাংবাদিকদের জন্য ১০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনের উপরে বঙ্গবন্ধু হল এবং প্রেস ক্লাবের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পরিদর্শন করেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়