জাসদের সাবেক নেতা কাজী আরেফ আহমেদ ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল বাকী হত্যাসহ ৮টি হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি রওশন আলীকে মেহেরপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রওশনকে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে তোলা হয়। বিচারক রওশনকে মেহেরপুর কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। পরে কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
র্যাবের সূত্রে জানা গেছে, রওশন নাম পাল্টে উদয় মন্ডল নামে ২২ বছর ধরে রাজশাহী এলাকার একটি গ্রামে বাস করে আসছিলেন। জাতীয় পরিচয় পত্রেও সে উদয় মন্ডল নাম ব্যবহার করে আসছিলেন। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারীতে তাকে আটক করা হয়।
কাজী আরেফসহ ৫ জাসদ নেতা হত্যার পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট রওশন আলীসহ ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন কুষ্টিয়া জেলা জজ। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে হাইকোর্ট ৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। একজনকে খালাস দেন ও ১২ জনের সাজা মওকুফ করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুইজন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করলে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আদেশ দেয়া হয়।ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয় ৩ আসামির। আসামিদের মধ্যে কারাগারে একজনের মৃত্যু হয়, আর বাকীরা পলাতক রয়েছে। এর মধ্যে র্যাব রওশন আলীকে আটক করেছে।