কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনা কলমাকান্দা উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে সালমান (৬) এক শিশুকে বিলের পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নে কনুরা গ্রামে লিলুয়া বিল থেকে সালমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি।
সালমান উপজেলার কনুরা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। এঘটনায় একই গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে (১৮) সন্দেহ পোষন করে আটক করে গ্রামবাসী। সোপর্দ করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে তানিয়া।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি বাড়ি ও প্রতিবেশি থাকায় তানিয়া আক্তারের (১৭) সাথে নিহত সালমানের ফুফু সুমাইয়ার (১৫) চলাফেরা ছিল। তানিয়ার চলাফেরা সন্দেহজনক এবং তাকে নিয়ে একাধিক সালিশী বৈঠকও হয়েছে এলাকায়। এ কারণে শিশুর বাবা আইনাল হক তার বোন সুমাইয়াকে তানিয়ার সাথে চলাফেরা ও মেলামেশা করতে নিষেধ করেন।
সম্প্রতি মাদরাসা যাওয়ার পথে সুমাইয়াকে পথরোধ করে কাপড় ধরে টানা হেঁচড়ার একপর্যায়ে বোরকা ছিড়ে ফেলে তানিয়া। সুমাইয়া দৌঁড়ে আশ্রয় নেয় পাশের আরেকটি বাড়িতে। এ ঘটনায় সালমানের বাবা বাড়িতে গিয়ে তানিয়াকে শাসন করে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় জেলে খোরশেদ মিয়া লিলুয়ার বিলে মাছ ধরতে জাল ফেললে তার জালে সালমানের মৃতদেহ উঠে আসে।
কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধ এবং রাগ ও ক্ষোভে গত বুধবার বিকেলে পানিতে ধাক্কা মেরে সালমানকে পানিতে ফেলে দেয়। শিশুটি সাঁতার না জানায় ডুবে মারা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া ঘটনা খুলে বলেছে। শিশুটির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে জানান তিনি।