সীমান্তে সংঘর্ষে ৪১ ইসরাইলি সেনা ও কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এ সময় ফিলিস্তিনিদের দিকে সরাসরি গুলি ছুড়েছে ইসরাইলের সেনারা। এর পর শনিবার দিনশেষে গাজায় হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, আহত ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসলামপন্থি যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস ও অন্য গ্রুপগুলো বিক্ষোভ আয়োজন করে। এ সময় সীমান্তে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। রয়টার্স লিখেছে, অত্যন্ত সুরক্ষিত সীমান্ত গাজা উপত্যকা।
এর কাছেই সমবেত হন কয়েক শত ফিলিস্তিনি। এ সময় সেখানে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। জবাবে ইসরাইলের সেনারা দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার উপায় অবলম্বন করে। সরাসরি গুলিও চালায় তারা। এতে দুই ফিলিস্তিনি মারাত্মক আহত হয়। এর মধ্যে আছে ১৩ বছর বয়সী একটি বালক। তার মাথায় গুলি লেগেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বাকি আহতরা স্বাভাবিক আছেন। তাদের বিভিন্ন অঙ্গে গুলি লেগেছে। পশ্চাৎদেশে, এমনকি পেটে গুলি লেগেছে। অন্যদিকে ইসরাইলের একজন সেনা সদস্য মারাত্মক আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে গাজায় যে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে, তার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
সেনা সদস্যকে গুলি করার জবাবে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান হামাসের অস্ত্রের চারটি গুদামে এবং অস্ত্র তৈরির কারখানায় হামলা চালিয়েছে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তাৎক্ষণিক কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের মিডিয়া বলছে, সেনাবাহিনী তার আয়রন-ডোম ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।