ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ছোট কৈবর্তখালী গ্রামের শেফালী বেগমের কাছ থেকে সাব-কবলা দলিলমুলে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের মৃত ফয়েজ আলী মোল্লার কন্যা মাহমুদা বেগম। জমি ক্রয়ের পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি জমি ভোগদখলে যেতে পারেননি তারা। পাঁচ বছরে ঐ জমির বহু কাছ কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ রহিম গংরা। এতে যতবার বাধা দেয়া হয়েছে ততবারই মাহমুদা ও তার মা, ভাই, বোন’কে খুন যখমের হুমকি দিয়েছে রহিম। জমিদাতা শেফালীর চাচাতো ভাই রহিম জমি ফেরৎ অথবা ৩ লাখ টাকা চেয়েছে মাহমুদার কাছে। এমনটাই অভিযোগ এনে মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাহমুদা এবং তার বোন নার্গিস ও তার মা পিয়ারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মাহমুদার বোন নার্গিস আক্তার। তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্রকরে তার ছোটো ভাই রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের সদস্য নাইম হাসান ইমনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানা এবং ঝালকাঠি আদালতে মিথ্যা মামলা দেয়ার পায়তারা করছে রহিম।
নার্গিস লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, গত ৮ আগষ্ট তার ভাই নাইম হাসান ইমনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ তুলে ঝালকাঠিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিপক্ষ রহিম নাইমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, মনগড়া এবং বানোয়াট বলে দাবি করেন নার্গিস আক্তার। তাদের দাবী ঐ ১৬ শতাংশ জমি অবৈধ ভাবে দখল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জমিদাতা শেফালীর চাচাতো ভাই রহিম হোসেন মিথ্যা মামলা সাজানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।