বরিশাল বিভাগের ৭৫টি মসজিদে ঈদুল আজহার আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে এসব ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি দরবার শরীফের অনুসারী। পৃথিবীর কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সাথে তাল মিলিয়ে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা সহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার্য্য পালন করেন তারা।
বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজী বাড়ী শাহসুফি জাহাগীরিয়া জামে মসজিদে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের জামাতে মুসুল্লীর উপস্থিতি ছিলো কম। নামাজ শেষে তারা পরস্পরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় মুসুল্লিরা বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এবার মানুষের আর্থিক অনটন রয়েছে। এ কারণে এবার অনেকেই পশু কোরবানী দেয়নি।
ঈদ জামাত শেষে মোনাজাতে করোনা মহামারী থেকে রক্ষার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া কামনা করা হয় বলে জানান শাহ্সুফি দরবার শরীফের অনুসারী নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁজকাঠী হাজি বাড়ি শাহসুফি জাহাগীরিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির হোসেন মিঠু।
তিনি জানান, মূলত সৌদি আরবের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল ধর্মীয় আচার্য্য পালন করেন তারা। বিভাগের ৬ জেলা ও মহানগরের ৭৫টি মসজিদে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।