বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আরও কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফাঁটল ধরায় একটি ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে আবার তড়িঘড়ি করে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। আরেকটি ঘরের দুটি পিলার ফাঁটল ধরায় সে দুটিও মেরামত করা হয়েছে। ওই ক্লাস্টারের ৪২টি ঘরের অর্ধেকের বেশী ঘরের মেঝের (ফ্লোর) স্তর উঠে গেছে। ওই উপজেলার চাঁদপাশা ক্লাস্টারের ঘরগুলোর বারান্দাও বড় জোয়ার এবং প্লাবনে তলিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুই দফায় বাবুগঞ্জর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছে ১৮০টি পরিবার।
ওই উপজেলার রহমতপুর ক্লাস্টারে ৪২টি ঘর দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি ঘরের দেয়াল ৩ দফা ভেঙ্গেছে। সব শেষ ভেঙ্গে যাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন আবার তড়িঘড়ি করে ওই দেয়াল মেরামত শুরু করেছে। একই ক্লাস্টারের একটি ঘরের দুটি পিলার ফেটে যাওয়ার পর সেগুলোও মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া ওই ক্লাস্টারের বেশিরভাগ ঘরের মেঝের (ফ্লোর) পলেস্তার সহ আস্তর উঠে গেছে। সেগুলোও মেরামত করা হচ্ছে।
এদিকে ওই উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের নোমোরহাট এলাকায় নির্মিত ঘরগুলোর মেঝে জোয়ার এবং প্লাবনের পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, রহমতপুর ক্লাস্টারের এক উপকারভোগী শক্তি দেখতে আঘাত করে একটি ঘরের পিলারের দুটি পিলার ভেঙ্গে ফেলেছে। আরেকজন ইয়াসের সময় পানিতে তলিয়ে যাওয়া মেঝে খুঁচিয়ে এর ভেতর কি দেয়া হয়েছে তা পরখ করেছে। এভাবে দুটি ঘরের মেঝের আস্তর ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। রেইন্ট্রি গাছ কাটার পর তার উপর মাটি ফেলে আরেকটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মাটি দেবে যাওয়ায় ওই ঘরটির দেয়াল ফাঁটল ধরেছিলো। আজ হোক কাল হোক ওই দেয়াল ধসে পড়বে। এ কারণে ওই দেয়ালটি পুরোপুরি ভেঙে সেখানে নতুন করে দেয়াল নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় চাঁদপাশা ক্লাস্টারের কিছু ঘরের মেঝে পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলো। স্বাভাবিক জোয়ারে তেমন কোন সমস্যা হয়না বলে তিনি জানান।
দুই দফায় বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ১ হাজার ৭শ’ ৭৪টি পরিবারকে জমিসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেয়া হয়। আরও ২১৮টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।