এবি হান্নান, ভোলা:
ভোলায় সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশায় প্রতিবেশী ভাতিজীকে মঝরাতে ধর্ষণ করতে গিয়ে ভিক্টিমের দায়ের কোপে রক্তাক্ত হয়েছেন অভিযুক্ত চাচা সিদ্দিক খালাসির বিরুদ্ধে।
ডেকোরেটর ব্যবসায়ি সিদ্দিক খালাসি।
গত শনিবার মঝরাতে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে কালু খালাসির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় আহত সিদ্দিক স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন।
তিনি স্থানীয় হাওলাদার বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী।
ভিক্টিম স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। তাঁর বাবা একজন কৃষক।
ভুক্তভোগী ভিক্টিমের পরিবার স্থানীয় পর্যায়ে কোনো সুষ্ঠু সমাধান না পেয়ে বিপাকে আছেন।
ভিক্টিমের পরিবার জানিয়েছেন, প্রায় ২ বছর ধরে প্রতিবেশী চাচা সিদ্দিক খালাসি ভিক্টমকে উত্যক্ত করে আসছেন। এমনকি ভিক্টিমকে টাকার লোভ দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করারও চেষ্টা করেছিলেন সিদ্দিক।কিন্তু তাঁর সমস্ত চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
একাধিকবার ভিক্টিমকে উত্যক্ত করায় ভিক্টিমের পরিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার নালিশও দিয়েছেন।কিন্তু তাঁর কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাননি।
ভিক্টিমের পরিবারের দাবি জনপ্রতিনিধিরা বলতেন, অভিযুক্তকে আটক করলেই বিচার করা হবে।
সবশেষ শনিবার মধ্যরাতের ঘটনার পর ভিক্টিমের বাবা বিষয়টি জনপ্রতিনিধির জানালে অভিযুক্তর বিচার তাঁরা করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর মঙ্গলবার অভিযুক্তর বাবা ভাই ও স্থানীয় রাকিব নামে এক মহুরির সমঝোতায় বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ষ্ট্যাম্পে লিখিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিক্টিমের পরিবার তাতে রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সিদ্দিকের পরিবার।
বুধবার সকালে ভিক্টিমের পরিবার সাংবাদিকদের জানান, ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর না দেওয়ায় ও তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সিদ্দিকের পরিবার।
এবিষয়ে সিদ্দিকের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, সে পলাতক রয়েছে।
এবিষয়ে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ জানান, পূর্বের বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে শনিবারের ঘটনার পর ভিক্টিমের পরিবারকে আইনি সহায়তা নিতে বলেছেন তিনি।