কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : গত কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার সোমেশ্বরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে নদীর তীর ভাঙ্গন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নে নদীর তীরবর্তী কামারখালী, বড়ইকান্দি, বহেরাতলী, ভূলিপাড়া, রানীখং ও সদর ইউনিয়নের ফারংপাড়া গ্রামের বেশ কিছু অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে।
শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান। তিনি নদী ভাঙন রোধে দ্রুত বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, একাডেমিক সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, কুল্লাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান শুভ্র মানখিন, গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দসহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে নদী ভাঙ্গন রোধে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যায়ে নয়শত মিটার ছয়টি প্যাকেজের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু করে। মাত্র দুইশত মিটার কাজ সম্পন্ন করা হলেও বাকি কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এই কাজে নিয়োজিত কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বর্ষা শুরু হওয়ার আগ থেকে বার বার তাগিদ দেয়া হলেও আমলে নেয়া হয়নি এমন অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।