মোঃ আরাফাত রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :
করোনা কালে শিক্ষার্থীদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার কারণে প্রশংসায় ভাসছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মোজাম্মেল হক অনিক । বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অনুষদের সাবেক এই সভাপতি, প্রায় দেড় বছর ধরে শতাধিক শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত ব্যাক্তিগত জিনিসপত্র নিজের ভাড়া বাসায় রেখে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন ।
মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে । বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাসে না থেকেও প্রতিমাসেই শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া বহন করতে হচ্ছিল । এমন সময় শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিগত মালামাল নিজ বাসায় রাখার সুযোগ করে দেয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মোজাম্মেল হক অনিক । মেছে না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের যাতে অযথা ভাড়া দিতে না হয় , সেজন্য নিজের ভাড়া বাসায় শতাধিক শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র রেখে প্রতিনিয়ত সেগুলো দেখাশোনা করছেন এবং প্রতি মাসেই উক্ত ভাড়া বাসার ব্যায় বহন করে যাচ্ছেন । এতে করে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে তাদের জিনিসপত্র গুলোও সুরক্ষিত থাকছে ।
মোজাম্মেল হক অনিকের এমন উদ্যোগে উপকৃত হয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা । সেইসাথে এমন একজন ছাত্রনেতারা যেন পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে পারেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অনেকেই ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রিমা আক্তার বলেন , ‘দুর্যোগকালীন সময়ে উনার এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখে । আমরা চাই এমন একজন মানুষ আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসুক ।’
ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার আন্নি বলেন, ‘বন্ধের মাঝে আমার জিনিসপত্রগুলো কোথায় রাখবো তা নিয়ে আমি চিন্তিত ছিলাম । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার তখন আমাকে অনিক ভাইয়ের ফোন নাম্বার দিয়ে উনার বাসায় এগুলো রাখতে বলেন । অনিক ভাইয়ের প্রতি আমি কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না ।
মোজাম্মেল হক অনিকের এমন সহযোগীতা মূলক কাজের প্রশংসা করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. উজ্জল প্রধান বলেন , “এটি একটি মহৎ কাজ । দুর্ভোগের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে সহযোগীতা করেছেন । আমি মনে করি এটি একটি অনুকরণীয় এবং অনুসরন করার মতো প্রশংসনীয় কাজ ।”
এ বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি জানতে চাইলে মোঃ মোজাম্মেল হক অনিক বলেন, ‘রাজনীতির মূল লক্ষ সেবা দেওয়া । আমি সেবাই দিয়ে যেতে চাই ।’