কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে এসে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জামাই। এ ঘটনায় দুই সন্তানের জনক সাদেক মিয়া সোমবার রাত পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সাদেক মিয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামের হাশেম মিয়া ছেলে। এরআগে গত শনিবার রাতে তিনি একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী গ্রাম দুর্চাপুর শ্বশুরবাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
সাদেক মিয়ার শ্যালক জহিরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কিছু দিন যাবত বোনের সাথে দুলাভাই এর ঝামেলা চলছিল। গত শনিবার রাতে বিষ খেয়ে আমাদের বাড়িতে আসলে বিষয়টি টের পেয়ে আমরা তাকে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন এবং তার শারিরীক অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভাল আছে।
দুর্চাপুর গ্রামের মাতব্বর বাহার উদ্দিন বলেন, সাদেক তার শ্যালিকা সাথে পরকীয়ায় জড়ালে তার স্ত্রী সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঘরোয়াভাবে শেষ করতে চেয়েছিলাম। এরমধ্যে সে শ্বশুরবাড়িতে এসে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সাদেক মিয়ার সাথে আবু সিদ্দিকের মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। এ দম্পত্তির ঘরে দুই সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে সাদেক মিয়া স্ত্রী-সন্তাানদের নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। সাদেকের শ্বাশুড়ি ও শ্যালিকাও থাকতেন ঢাকায় অন্য এক এলাকায়। শ্যালিকার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তা জানাজানি হলে স্ত্রী মরিয়ম দুই সন্তানকে নিয়ে তার বাবার গ্রামের বাড়ি দুর্চাপুর চলে আসেন। এ ঘটনায় কয়েক দফায় ঘরোয়াভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছে।