কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশেষ ভিজিএফের অধীনে গত ঈদুল ফিতরে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার জনপ্রতি ৪৫০ টাকা। সেই তালিকায় রয়েছে ইউপি সদস্যের স্ত্রী, পুত্র, মাসহ ছয় আত্মীয় স্বজনের নাম। এরকম এক অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় গাঁওকান্দিয়া ইউপির আব্দুল আলী নামে এক সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে।
বুধবার এবিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান জানান, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই ইউনিয়নে ৪৫০ টাকার বিশেষ ভিজিএফের তালিকায় ১৫৫১ জনের মধ্যে ইউপি সদস্য আব্দুল আলীর সৎ মা মোছা. সাবানের নেছা (তালিকায় ক্রমিক নং ৫৫৪), স্ত্রী মোছা. ফিরোজা বেগম (৫৫১), ছেলে মো. ইকবাল হোসেন আশিক (৬০৬), সহোদর বোন মোছা. হাজেরা খাতুন (৪৪৩), ভাগ্নী আসমা বেগম (৬০৪) ও আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোছা. আয়েশা খাতুন (৫৫৫) রয়েছেন।
এনিয়ে ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বোন, ভাগ্নি ও ছোট ভাইয়ের বউ তারা আমার গরীব আত্মীয়-স্বজন। তালিকায় মায়ের নামের কথা বললে তিনি বলেন সৎ মা সেও গরীব। স্ত্রী ও পুত্রের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে পাওয়া যায়নি সঠিক উত্তর। পরে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসাতে অভিযোগ দিয়ে থাকতে পারে।
গাঁওকান্দিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোতালেব বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে চিঠি দেয় সরকার। দ্রুত সময়ে তালিকা তৈরি করে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয় না। তবে আত্মীয়-স্বজন গরীব থাকলে দেয়া যায়। কিন্তু ইউপি সদস্যের নিজ স্ত্রীর নাম অন্তর্ভূক্তি এটা অনৈতিক।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন সংশ্লিষ্ট ইউপি’র ৪নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি মো. জাহের আলীসহ ছয়জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা ইউএনও এর কাছে জমা পড়ে। সেখানে উল্লেখ করা হয় ইউপি সদস্য মনগড়া তালিকা করে ইচ্ছেমত টাকা বিতরন করেছেন। তালিকায় ব্যক্তির মোবাইল নাম্বারের সাথে প্রকৃত ব্যক্তির মিল নাই। তালিকায় মেম্বারের পরিবারের ছয়জনের নাম রয়েছে এবং গত ঈদের আগে টাকা উত্তোলন করাও হয়েছে।