আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধি: গত ৬ মার্চ (শনিবার) দুপুরে আলু ক্ষেত থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সাময়িকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন রশিদা (৫৫)। হাঁটতে হাঁটতে চলে আসেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায়।
নিখোঁজের ৪২ দিন পর তারাগঞ্জ বাজার থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান জদ্দিপাড়া গ্রামের লাবু মিয়া। এ বিষয়ে গত ১৮ ই মে সাংবাদিক খলিলুর রহমান তারা নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন গ্রুপ আইডিতে ছবি সংযুক্ত একটি পোস্ট করেন । মঙ্গলবার (১ জুন) পোস্টটি তার পরিবারের লোকজনদের দৃষ্টিগোচর হয়। তাৎক্ষণিক খুঁজে পাওয়ার আশায় মুঠোফোনে ফোন করেন সাংবাদিক খলিলুর রহমানকে। যোগাযোগ করা ব্যক্তি পরিচয় দেন খুঁজে পাওয়া সেই রশিদা বেগম তারা খালা। রশিদা বদরগঞ্জ উপজেলার ১২নং কুতুবপুর ইউনিয়নের নাটারাম ডাক্তার পাড়া গ্রামের মৃত রোস্তম আলীর মেয়ে। মুঠোফোনে কথা বলার পরে (১ জুন) সন্ধ্যায় তারাগঞ্জ আসেন ওই মহিলার ভাগিনা সাদ্দাম হোসেন। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রশিদা বেগমকে তুলে দেওয়া হয় সাদ্দাম হোসেনের হাতে।
রশিদার ভাগিনা সাদ্দাম হোসেন বলেন, তার খালা প্রায়ই অসুস্থ হতেন , অনেক চিকিৎসা করেও তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি। গত ৬ মার্চ দুপুরে পরিবারের সবাই মিলে নিজের আলু খেতে যান আলু তুলতে। সেখান থেকে বাড়িতে যাওয়ার কথা বললে তিনি বাড়িতে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরেন। ভারসাম্য হীন অবস্থায় বাড়ি খুঁজে না পেয়ে হাঁটা শুরু করেন, পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বদরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাই সাংবাদিক খলিলুর রহমান ও সাবু ভাইর প্রতি ।
সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, রশিদা বেগমকে সুস্থ অবস্থায় তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারে আমি আনন্দিত।
লাবু মিয়া বলেন, রশিদা খালাকে তারাগঞ্জ বাজার থেকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে গিয়ে আমি চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করেছি, অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার পরিবারের খোঁজ না পেয়ে আমি হতাশ ছিলাম । আজ রশিদা খালা আমাদেরকে মায়া লাগিয়ে তার পরিবারের কাছে চলে যাচ্ছেন। আমি দোয়া করি উনি বাকি জীবনটা পরিবারের সাথে সুস্থ থাকুক।