ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জন প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫৮টি শিশুও রয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। ইসরায়েল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাপন্থী সংগঠন হামাসকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালালেও এতে অনেক নিরাপরাধ মানুষও প্রাণ হারাচ্ছেন। সর্বস্ব হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। ইসরায়েল এখনো হামলা অব্যাহত রাখায় ফিলিস্তিনির দিন কাটছে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। প্রাণ বাঁচাতে এরইমধ্যে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
ফিলিস্তিনে দায়িত্ব পালনরত দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরাও ঝুঁকিতে পড়েছেন। এরই মধ্যে গাজায় আল জাজিরার কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার ভোরে টানা অষ্টম দিনের মতো ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল রবিবার ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান ৪২ জন।
এদিকে, গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলে ২ শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছে ১০ জন।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাপন্থী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে। গাজায় হামাসের প্রধান ইয়েহিয়া আল-সিনাওয়ারের বাসায়ও ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।
গত রবিবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল প্রসঙ্গে বৈঠকে বসলেও যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল। জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্য দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল বাহিনীর পবিত্র আল-আকসা মসজিদ অবরোধ নিয়ে এ সংঘর্ষের শুরু। আল-আকসা ছেড়ে দিতে সময় বেঁধে দিলেও তা মানেনি ইসরায়েল। জবাবে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে হামাস। ক্ষুব্ধ ইসরায়েল হামাসের সামরিক শক্তি পুরোপুরি ধ্বংস করার লক্ষ্যে বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র: আল জাজিরা