কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় স্ত্রী’র মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য সৃষ্টি হওয়ায় স্বামী আবু বক্কর ছিদ্দিককে (৪৬) আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের স্বামীর বসতঘর থেকে দিলারা খাতুনের (৩৬) মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য থাকতে পারে এবং গত বুধবার দিবাগত রাত কোন এক সময় ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ধারনা করছে পুলিশ।
আটককৃত নিহতের স্বামী আবু বক্কর ছিদ্দিক ওই গ্রামের মৃত আশকর আলীর ছেলে। তার দাবি তার স্ত্রী’র স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং তিনি পেশায় স্থানীয়ভাবে দর্জির কাজসহ গ্রাম্য ডাক্তারি করেন।
নিহত দিলারা খাতুন ছিদ্দিকের তৃতীয় স্ত্রী ও তার বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এ সংসারে প্রায় দেড়-দুই বৎসর বয়সি এক মেয়ে রয়েছে। আর ছিদ্দিকের আগের সংসারে আরও চার সন্তানের মধ্যে ইতোমধ্যে এক মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিলারা খাতুনকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে বিষ প্রয়োগে ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের স্বামী ও শ্বাশুড়ীর কথা বার্তায় অসামঞ্জস্যতা থাকায় ছিদ্দিককে আটক করা হয়েছে এবং নিহতের শ্বাশুড়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা আনা হযেছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের স্বামী তার স্ত্রী’র স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করছে। কিন্তু তার ঘরের ভেতর থেকে বিষের বোতল পাওয়া গেছে। বিষক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটনা ঘটাতে পারে। আবার গ্রাম্য ডাক্তারি করায় বিষ ইনজেক্ট করে থাকতে পারে। দাম্পত্য কলহ আগে থেকেই ছিল এবং আগে এক স্ত্রীকে মেরে ফেলা ও আরেক স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে ছিদ্দিক স্থানীয়ভাবে কথিত রয়েছে।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরের দিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বের হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।