কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রেজাউল করিম রাজিব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৯ মে) দুপুর দেড়টায় মোহনগঞ্জ থানায় রাজিবের বাবা বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলো- উপজেলার হাটনাইয়া গ্রামের রিয়াদুল হক মোহন (৩৭), যতন মিয়া (৩৫), ভাটিয়া গ্রামের আবুুল কালাম আজাদ (৪৫), দিলাল মিয়া (৪১), তরিকুল ইসলাম (২৫), মনোবীর সরকার (২২), মল্লিকপুর গ্রামের সুরঞ্জণ গুণ (৩৮), কুলপতাক গ্রামের মনুজ চক্রবর্তী (২৬), ছয়াশি গ্রামের আশিক খাজা (৩৮) ও পার্শ্ববর্তী খালিয়াজুরী উপজেলার বানুয়ারী গ্রামের স্বস্তির মিয়া (৩৮) এবং হিরণ মিয়া (৩৫)। এছাড়াও আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আবুুল কালাম আজাদ সুয়াইর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও দিলাল মিয়া স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সম্পর্কে তারা দুজন আপন ভাই। আর তরিকৃল ইসলাম তাদের ভাতিজা বলে জানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার রাজিবের বন্ধু শুভ।
রিয়াদুল হক মোহন, আবুুল কালাম আজাদ ও মনোবীর সরকার এ তিনজন ইতিমধ্যে পুলিশের হেফাজতে থাকায় এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজদুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মোহনগঞ্জের ভাটিয়া গ্রামের কাছে কালচার হাওরে ভারী পাথর চাপা দিয়ে ডুবন্ত অবস্থায় থাকা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক রাজিবের হাত মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল রাজিব। ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকালে নিজ বাড়ি পৌরশহরের দেওথান গ্রামে রাজিবের লাশ দাফন করা হয়। তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে রাজিবের পনের মাস বয়সী একটি কন্যা শিশু রয়েছে।