কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মো. সাইদুল ইসলাম (২৮) নামে এক নব বিবাহিত যুবককে তুলে নিয়ে লিঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে এক নারীর ওপর। ভিকটিম সাইদুল বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে বৃধবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভিকটিমের বড় ভাই মো. আ. আজিজ (২৯)।
অভিযুক্ত নারী মোছা. হনুফা আক্তার (২৫) উপজেলার চন্দ্রকোনা মায়ানগর গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে এবং ওই নারীর দুইটি বিয়ে হয়েছে ভিকটিমের সাথে কথা বলে জানা গেছে। অন্যান্য অভিযুক্তা হলো- ওই নারীর পিতা গিয়াস উদ্দিন (৫৫) এবং দুই ভাই সাহাব উদ্দিন (৩০) ও জাহাঙ্গীর (২৭)।
ভিকটিমের সাথে কথা বলে ও অভিযোগ সূত্রে জানায় যায়, ভিকটিম সাইদুল মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করতেন। হনুফা আক্তার মোবাইল মেরামত করতে আসলে ভিকটিম মেরামত করে দেন। সে সুবাধে ভিকটিম মোবাইল নম্বর নেয় হনুফা। ওই নারী প্রায় সময় ভিকটিমকে নানান প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করার প্রস্তাব দিতে থাকে। এতে ভিকটিম রাজি না হলে পরে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমের বন্ধুদের কাছে নালিশ করে ও দেখে নেয়ার হুমকিও দিতে থাকে। বছর খানেক যাবত ওই নারীর মোবাইল ফোন ধরা থেকে বিরত থাকে ভিকটিম এবং গত দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে করেন সাইদুল।
গত ২০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ভিকটিম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য উপজেলার নলুয়াপাড়া চায়না মোড় ব্রিজের উপর ফেইসবুক চালাত থাকে সাইদুল। এমন সময় ওই নারী ও তার বাবা, দুই ভাই এবং অজ্ঞাত চারজন জাবরাইয়া ধরে গামছা দিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে অটোরিকশা করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিমের চোখ খুলে হনুফা বলে ‘আমাকে ভাল করিয়া দেখিয়া নে’ আমাকে বিবাহ করিলে তোর এ অবস্থা হত না। এখন আমি তোর পুরুষত্বটা নিয়ে নিব। যাতে করে আর কোন মেয়েকে বিবাহ করতে না পারিছ।
পরে কোমার হতে ছুরি বাহির করে অন্যান্য অভিযুক্তদের সহায়তায় ভিকটিমকে উলঙ্গ করিয়া লিঙ্গ কেটে দেয় ওই নারী। এতে ভিকটিম জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমের সামান্য জ্ঞান আসলে ও তার সাথে থাকা মোবাইলে জানালে পরিবারের লোকজন চন্দ্রকোনার ব্রিজ সংলগ্ন বালুচর থেকে উদ্ধার করে। প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে সাইদুলকে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের ধরতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।