পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এক অনিশ্চিয়তার দিকে হাঁটছি আমরা। কালকে কী হবে বলতে পারছি না। মার্কিনিদের সিস্টেম কাছাকাছি থেকে দেখে এসেছি। প্রতিদিন কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। উন্নত দেশ হয়েও করোনায় হিমশিম পড়তে হয়েছে। আমাদের সম্পদ কম। আমাদের আরও কাজ করার সুযোগ আছে। সবার সহযোগিতায় করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। কাজ ছাড়া ঘরের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সকলের সচেতনতাই পারে এ যুদ্ধে জয়ী হতে পারবো আমরা।
রবিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার, স্ট্রোক, প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালভাবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রী বলেন, ২৭৪ জন লোককে চিকিৎসার সহযোগিতা হিসেবে ৫০ হাজার করে ১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা দিচ্ছে সরকার। অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আমাদের সরকারের শক্তি বাড়ছে। সরকারের টাকা জনগণের টাকা। প্রতিটি পয়সার মালিক জনগণ। যে আসতে পারবে না তার বাড়িতে টাকা দিয়ে আসাটা মহৎ কাজ।
হাওরের বোরো ধান কাটার ব্যাপারে বলেন, কৃষকের জমিকে নিজের জমি মনে হয়। পাকা ধান দেখলে মন আনন্দে ভরে যায়। আকাশের মেঘ ও নদীর পানির দিকে থাকিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করে সময় মতো ধান ঘরে তুলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, খেতের ধান আমাদের প্রকৃতির হক পাওনা। এটা আমাদের তুলে আনতে হবে। আমাদের ছোটবেলা খাদ্যাভাব ছিল, মানুষ কলেরায় মারা যেতো। ডিসি এসপিকে কখনও গ্রামে আসতে দেখিনি। এখন সমস্যা হলেই তারা ছোটে আসেন। দেশ পরিচালনায় সরকারকে সহযোগিতায় করায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক সুচিত্রা রায়, জেলা কৃষি সম্প্রশারণের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।